Bangladesh Railway Ferry | রেলওয়ে ফেরী, ২০১৫ সালের ভিডিও | Bangladesh R...

রেলওয়ে ফেরী, যারা যারা দেখেননি তারা দেখে নিতে পারেন। ২০১৫ সালের ভিডিও। ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৮ সালে ঢাকার সাথে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় তিস্তামুখ ঘাট ও জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটে যমুনা নদীতে রেল ফেরির সার্ভিস চালু করে।

তৎকালীন ব্রিটিশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর জেলার গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগর ও ঠাকুরগাঁও জেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যাত্রী ও মালামাল পারপারের জন্য যোগাযোগ গড়ে তুলতে এ ফেরি সার্ভিসটি চালু করা হয়। এরপর থেকেই এ ঘাট দিয়ে স্বল্প ব্যয়ে অল্প সময়ে যাত্রী পারাপার, কৃষি পণ্য, ডিজেল, সার সরবরাহসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহণ করা হতো। ১৯৯০ সালের পর যমুনা নদীর নাব্য সঙ্কটের কারণে ফেরি সার্ভিসটি তিস্তামুখ ঘাট থেকে বালাসীঘাটে স্থানান্তর করা হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের আগে দিনাজপুর থেকে রংপুর হয়ে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট পর্যন্ত ট্রেনে যাতায়াত করত এতদাঞ্চলের মানুষ। এছাড়াও সান্তাহার, বগুড়া, বোনারপাড়া হয়েও ট্রেনে এ ঘাট দিয়ে মানুষ চলাচল করত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর থেকে যাত্রীবাহী লোকাল, মেইল ট্রেন ও আন্তঃনগর একতা, তিস্তা, করতোয়া ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে কিছুদিন মালবাহী ওয়াগন চলাচল করলেও ওয়াগন ফেরি বন্ধ থাকায় তা নিয়মিত চলাচল করে না। বছরের অধিকাংশ সময়ই ওয়াগন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এতে রাজধানীর সাথে উত্তরাঞ্চলের শত বছরের রেল যোগাযোগের একাংশের পরিসমাপ্তি ঘটে। ফলে রেলের বোনারপাড়া থেকে তিস্তামুখ ঘাটের এবং ত্রিমোহনী থেকে বালাসীঘাটের রেল লাইনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট ও চুরি হয়ে যাচ্ছে। বেহাত হচ্ছে রেলের কোটি কোটি টাকার ভূমি। এছাড়াও বসে বসে বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন ফেরি বিভাগের কয়েকশ কর্মচারী।


Post a Comment

Thanks for Your oppinion

Previous Post Next Post